নিউইয়র্ক : | বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
নিউইয়র্কে একদল মাকে সম্মাননা দিয়েছে সামাজিক সংগঠন ‘সবুজ সভা’ ও ‘জয় বাংলাদেশ টেলিভিশন’। রোববার মা দিবসে জ্যামাইকা ৪৭-১৪ হিলসাইডে বাংলা সিডিপ্যাপ সার্ভিসেস ও অ্যালেগ্রা হোম কেয়ারের কাঁচারিঘরে জেবিটিভি স্টুডিওতে ওই অনুষ্ঠান হয়।
প্রধান অতিথি ছিলেন গ্লোবাল পিস অ্যামব্যাসেডর ও এজেডএম গ্রুপের প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা স্যার ড. আবু জাফর মাহমুদ। সবুজ সভার সমন্বয়ক লাইলা খালেদার পরিচালনায় ও সাংবাদিক কাবেরি মৈত্রীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জীবন সংগ্রামে সফল ও অনুকরণীয় পাঁচজন নারীকে ‘গ্রীন মম অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়।
অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন বিশিষ্ট সমাজসেবী ও লেখক আসমা ফেরদৌস, উন্নয়ন সংগঠক আম্বিয়া অন্তরা, লেখক ও সংগঠক নাহার ফরিদ খান, নারী ও মানবাধিকার সংগঠক সুলেখা পাল এবং শিক্ষা-সংস্কৃতি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ড. রুমা চৌধুরী।
প্রধান অতিথি স্যার ড. আবু জাফর মাহমুদ বলেন, এই পৃথিবীর কাছে আমাদের অনেক ঋণ। আমি ভালোবাসার দরজা খুলে সকল বাংলাদেশিকে আমার হৃদয়ে জায়গা করে দিই। প্রতিটি মানুষের কাছে আমি আমরা ঋণী। তাদের অবদানে আমি আজকের এই জায়গায় এসেছি। এই মানুষদের ঋণ শোধ করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। যখন থেকে আমার চারদিকের মানুষ দেখেছি, প্রতিবেশিদের সঙ্গে মিশেছি তখন থেকেই আমি ভালোবাসা পেয়ে আসছি। তখন থেকেই ভালোবাসার ঋণ অনুভব করতে শিখেছি। আমি মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে যখন প্রার্থনা করি, তখন বলি, জীবনে যে এক মুহূর্তের জন্য আমার কল্যাণ চেয়েছে, আমাকে ভালোবেসেছে, আপনি তাকে ক্ষমা করে দিন। তার বাবা মা’কেও ক্ষমা করে দিন। তার জীবন সহজ করে দিন।
স্যার আবু জাফর মাহমুদ বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে জানি আমি ভালোবাসা চাই। এটিও বিশ্বাস করি আরো একজন মানুষও ভলোবাসাই চান। দুজনের এই মিলিত প্রত্যাশাই অহিংস জীবনের সন্ধান দেয়। এভাবেই অহিংস সমাজের জন্ম হতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে রাজনৈতিক দলপ্রধানরা যখন দলের মালিক হয়ে গেছে, তখন থেকে সর্বনাশা আগুন গোটা রাষ্ট্র থেকে সমাজ, সমাজ থেকে পরিবারে পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। সর্বত্রই এই আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। আমি যখন ছাত্র তখন কমিউনিজমের কথা ভাবতাম। সমাজ বিপ্লবের স্বপ্ন দেখতাম। কিন্তু তখন আমার ধর্ম থেকে নিরপেক্ষ হওয়ার শিক্ষা দেয়া হয়েছে, তার মানে আমার ধর্ম থেক বেরিয়ে আসার ইন্ধন যোগানো হয়েছে। তখন বুঝতাম না, এখন বুঝি, আমার বিশ্বাস কীভাবে ধংসের প্রক্রিয়া চালানো হয়েছে। কীভাবে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই শিক্ষা চালু রেখে আমাদের জীবন ব্যবস্থার সুন্দর ঐতিহ্যকে নস্যাৎ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের সন্তানরা ওই একই চক্রের শিকার হয়ে যখন সমকামিতার মতো ভয়াবহ প্রক্রিয়ায় জড়িয়ে পড়ে, তখন তার দায় আমরাও এড়াতে পারি না। এখানেও আমাদের কিছু কিছূ সংগঠন রয়েছে, যে সংগঠনগুলো সমকামিতাকে এগিয়ে নিতে সিটি থেকে অর্থ অনুদান পেয়ে থাকে। ওই অনুদান কোথা থেকে আসে তা আপনারা সবাই জানেন। তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে এই সমাজ থেকেই বেছে নিতে হবে, কোনটি আমার জন্য ভালো, আর কোনটি আমার জন্য খারাপ।
স্যার আবু জাফর মাহমুদ ‘সবুজ সভা’ সংগঠনের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এই সংগঠনকে সমাজের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে নেয়ার জন্য তার পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশাবাদ জানান।
Posted ৩:৫৩ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh